blogger widgets
শুভ্র ভাই এর লেখালেখির জগতে স্বাগতম! Welcome!

লাইফ উইদাউট লাভ - পর্বঃ ১৪

সন্ধ্যাটা আজ বড়ই মধুর লাগছে। সরদার বাড়ি থেকে আসতে সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলো। হাত মুখ ধুয়ে নিজের ঘরে এলামকোন কিছুতে মন বসছে নাদ্বীপ্ত ভাইয়ার রুমে ছুটে যেতে ইচ্ছে করছে না। না যাবো না। দেখা যাক। দেখি সে নিজে থেকে আসে কিনা। ছাদের উপর রাতের আকাশ , তাতে হাজার তারার ফুটকি আঁকা। কোন গ্রাম্য মেয়ের হাতে আঁকা এক নকশি কাঁথা যেন বিছিয়ে দেয়া হয়েছে আকাশের গায়েআমি ছাদের উপর গিয়ে দাঁড়ালাম। এইমাত্র বাগানের মেহগনি গাছে শালিকের কিচির মিচির থেমে গেলো। হয়তো সবাইকে গুডনাইট জানিয়ে ঘুমাতে গেলো শালিকের ঝাঁক।
                          
আমাদের একটা পোষা শালিক ছিলো। শালিকটি কথা বলতে পারতগুটি কয়েক শব্দ ছিলো তার ভাণ্ডারে। ‘কেমন আছিস, বয় ( বস)’আব্বাকে সে ‘আব্বা’ বলে ডাকত। আর মা কে বলত ‘বু’বারান্দার উত্তর কোনায় তার খাঁচা ঝোলানো থাকতএকবার ঝড়ের রাতে মন্টু কোথায় যেন উড়ে যায়। পোষা শালিক পাখিটার নাম রাখা হয়েছিলো মন্টু। কে তার নাম মন্টু রেখেছিলো ঠিক মনে পড়ছে না। পরদিন দুপুরে মন্টু নিজেই ফিরে আসে। তারপর থেকে মন্টু ছাড়াই থাকত।

সারা বাড়িময় সে উড়ে বেড়াতো। সারাক্ষন জানা কয়টি শব্দ আওড়ে চলত। মানুষ, গরু যেই তার সামনে দিয়ে যাক বলত, ‘ভাত খেয়ে যা’এটা শিখেছে মায়ের কাছ থেকে। মা প্রায়ই রান্নাঘর থেকে আমাদের দুই ভাইকে ডেকে বলেন, ‘ভাত খেয়ে যা’মাস খানেক  পরে এক আম কাঠাল  পাকা জৈষ্ঠের দুপুরে সবাই যখন বিছানায় , কেউ ঝিমুচ্ছে, কেউ ঘুম, এক হুলো বেড়ালের খপ করে মন্টুর গলার কাছে চেপে ধরেমন্টু বারান্দায় রাখা বেঞ্চের হাতলে বসে ছিলো। হয়তো সেও ঝিমুচ্ছিলো। রহিম ঢেলা মেরে হুলো বিড়ালের মুখ থেকে মন্টুকে ছাড়িয়ে আনেকিন্তু ততক্ষনে মন্টু আর বেঁচে নেই। রক্তমাখা তার ছোট দেহটি নিঃসাড় পড়ে আছে। রহিম কেঁদে উঠলো। আমারও চোখও শুষ্ক ছিলো না। আর কেউ কাঁধে উড়ে এসে বসে বলে না, ভাত খেয়ে যা। উত্তর দিকের নারিকেল গাছটার দক্ষিণ পাশে রহিম আর আমি দুজনে মিলে মন্টু আর তার ঘাতক বিড়াল টিকে কবর দিয়ে রাখি। রহিম রেগে গিয়ে ডেলা হাতে বিড়াল টাকে তাড়া করে। খুনী বিড়ালটাকে লক্ষ্য করে অনবরত ঢিল ছুড়তে থাকে। ঢেলা গিয়ে লাগে হুলোটার মাথায়। সেখানেই বিড়ালটা সাঁই করে এক পাঁক ঘুরে কাঁত হয়ে পড়ে। আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে নাই।



উত্তরের নারিকেল গাছটার দিকে তাকাতে মন্টুর কথা মনে পড়ে গেলো। মনে পড়ে গেলো, ‘ভাত খেয়ে যা’পুরোনো কথাই ভাবছিলাম। হঠাৎ কেউ যেন আমার কাঁধে দুই হাত রেখে দাঁড়ালো। নাকে একটা অপরিচিত গন্ধ ভেসে এলো। ‘ছোড ভাই’ রহিমের উচ্ছস্বিত ডাক শুনলাম একই সাথে। পাশ ফিরে দেখি কাঁধে হাত রেখে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে দ্বীপ্ত ভাইয়া। একটু দূরে ট্রে হাতে রহিম, তার দুই গাল বেয়ে ঝরে পড়ছে হাসি। এত খুশীর কি হলো!

‘কিরে রহিম, আজ এত খুশি ক্যান? না চাইতেই চা নিয়ে এলি’

‘ভাইজান এইডা চা না। এইডা কপি। শহরের ভাইজান নিজে বানাইছে। ওল কপি, ফুল কপি , পাতা কপির মত এইডার নামও কপি। কিন্তুক চায়ের মত দেখতি। ঘ্রানডা আলাদা। ন্যাও খাও’

‘অত কথা বলে কাজ নেই। যা নিচে গিয়ে কফি খা। আর যাওয়ার সময় সিড়ি ঘরের দরজা টেনে দিয়ে যা। না হলি বিড়াল ঢোকবে’


বইয়ে কফির কথা পড়েছি গ্রামদেশে আর কজন চা কফি খায়! আমাদের এদিকে তো কফি পাওয়া যায় না। সত্যি বলতে কি, কফির স্বাদ কেমন হয় তা আমি জানিনা। কৌতূহল বোধ করছি। দ্বীপ্ত ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করলাম , ‘কফি কোথায় পেলেন ?

দ্বীপ্ত ভাইয়া জানালো সে সাথে করে কিছু কফি বিন নিয়ে এসেছে।

‘নাও, এবার শুরু করো’

‘তুমি শুরু করো আগে’

আমি কফিতে চুমুক দিলাম। একটু তিতকুটে স্বাদ। কিন্তু মন্দ না।

‘স্বাদ কেমন? কেমন হয়েছে?

‘ জীবনে প্রথম কফি খাচ্ছি। স্বাদ কেমন হয় তা বুঝবো কিভাবে!’

‘ জীবনে অনেক কিছুই তো প্রথম খাচ্ছো। সেগুলো জিজ্ঞেস করলেতো ভালই পাকা পাকা কথা বলতে পারবে’


আমি চুপ করে রইলাম । দ্বীপ্ত ভাই কিছু না বলে আমার চোখে চোখ রাখলেন একবারআমার কফি মগ ধরা হাতে ধরলেন দুহাতে। হাত খানা মুখের কাছে টেনে নিলেন। সেই কফি মগে তিনি চুমুক দিলেনপুরোনো আবেশে আমরা মুগ্ধতা ফিরে পেলাম। আমরা পালাক্রমে কফি মগে চুমুক দিতে লাগলাম। আমি চাদর আনি নাই। ঠান্ডা লাগছেদ্বীপ্ত ভাইয়া তার চাদরে আমাকে জড়িয়ে নিলেন পেছন থেকে। আমাকে বেষ্টন করে ধরে রাখা হাতের উপর আমি হাত রাখলাম। তিনি আমার গলার কাছে টুক করে চুমু খেলেন। তার দেহের উষ্ণতা আমার দেহে আগুন ধরিয়ে দিলো।

‘ শুভ্র’

‘ বলো’

‘ আজ পহেলা ফাল্গুন । বসন্তের প্রথম দিন।  আজ রঙিন হবার দিন। পলাশের রঙে লাল হবার দিন’

‘ ভাইজান , আমরা গ্রামের মানুষ বাংলা দিনপঞ্জির হিসেব ভালোই রাখিরহিমকে জিজ্ঞেস করলে সেও বলতে পারবে’

‘ শুধু জান বললেই হয়। ভাইটা আবার লাগানোর কি দরকার! বলো দেখি একবার শুনি। বলো বলো’

আমি ভেবেছিলাম শুধু জান বলাটা অনেক সহজ। কিন্তু বলতে গিয়ে দেখলাম মুখ থেকে বেরুতেই চায় না

‘ শুভ্র’

‘ তুমি কি জানো আগামীকাল কি দিবস?

‘ না।’

‘আগামীকাল ১৪ই ফেব্রুয়ারী , বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। অনেকে এটাকে ভ্যালেনটাইনস দিবস বলে’

‘ কেন ? এই দিনে কি ভ্যালেন্টাইনস ভালোবাসার জন্য শহীদ হয় নাকি এরকম কিছু?

‘ হা হা হা। সব দিবসেই কি শহীদ হতে হবে! আসলে ভ্যালেন্টাইনসের ইতিহাসের সাথে যুগলদের ভালোবাসার কোন সম্পর্ক নেই। চতুর্থ খ্রিস্টাব্দে রোমে ভ্যালেন্টাইনস নামে এক খ্রিস্টান পাদ্রি বাস করত। রোম তখন শাসন করত ইহুদি শাসক ক্লডিয়াস। ভ্যালেন্টাইনসের পেশা ছিল ডাক্তারি। রোমে সেসময় খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিলো। খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারের অভিযোগে ভ্যালনটাইনসকে বন্দী করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সেখানে তিনি জেলারের দৃষ্টিহীন মেয়ের চোখের চিকিৎসা করে চোখ  ভালো করে দেন। প্রহরী সৈনিকদের মধ্যে ভ্যালনটাইনসের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজা ক্লডিয়াস ঈর্ষান্বিত হয়ে তার মৃত্যুদন্ড দেনফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখে তা কার্যকর করা হয়এর চারশো বছর পরে অস্টম শতাব্দীতে খ্রিস্টিয় চার্চ সেন্ট ভ্যালেনটাইনসের স্মরণে ১৪ ফেব্রুয়ারীকে ভ্যালেন্টাইনস দিবস ঘোষনা করে’

‘ এটা তাহলে খ্রিস্টানদের উৎসব?

‘ হুমসেরকমই

‘ তাহলে বাঙালিরা পালন করে কেন?

‘ এটা খ্রিস্টিয় অনুষ্ঠান হলেও দিনটিকে বিশ্বব্যাপি পরিচিতি দেয় প্রেমিক প্রেমিকারা। এদিনে হাজার মানুষ তাদের ভালোবাসার মানুষকে ফিল করে, তাদের উইশ করে। ফুল পাঠায়, কার্ড পাঠায়। ভালোবাসার রঙে মেতে ওঠে পুরো পৃথিবী। আমরাও যদি সেই মিছিলে যোগ দেই তবে খারাপ কি!’

‘ ওরে বাবা। এত হাই থটের কথাবার্তা  আমার মাথার উপর দিয়ে  গেলো। মাথা ঘুরছে। একটা গান শোনাও প্লিজ। ‘

আমার মাথায় হালকা চাপড় মেরে হাসি মুখে বললেন, ‘কোন গানটি?

‘তোমার পছন্দের যে কোন গান। রবীন্দ্র সংগীত হলে ভালো হয়’

দ্বীপ্ত ভাইয়া গলা ছেড়ে গেয়ে উঠলেন, ‘তোমারে করিয়াছি জীবনের ধ্রুব তারা...’। 

গান শেষ হওয়ার আগেই মা খেতে ডেকে পাঠালেন রহিমকে দিয়ে। সিড়ি ঘরে পায়ের আওয়াজ পেয়ে আমি ছিটকে আলাদা হয়ে গেলায় দ্বীপ্ত ভাইয়ার বাহুডোর থেকে। সবাই মিলে খেতে বসলাম। আমার বাম পাশে বসেছেন দ্বীপ্ত ভাইয়া। আমার খুব ইচ্ছে করছে নিজ হাতে তার মুখে খাবার তুলে দিতে। অন্তত এক লোকমা। তার হাত থেকে এক নোলা ভাত খাবারও লোভ হচ্ছে। কিন্তু সবার সামনে তা কিভাবে হয়। ফুফু দাঁড়িয়ে আছেন। বারান্দার খাটের উপর আমরা তিনজন খেতে বসেছি। আমি , দ্বীপ্ত ভাইয়া এবং রহিম। আজ আমি জোর করে দ্বীপ্ত ভাইয়ার পাতে খাবার তুলে দিতে লাগলাম। রুই মাছই তুলে দিলাম তিন পিস। একটু বেশী বেশি হয়ে যাচ্ছে নাকি ! রহিম খেয়ে উঠে গেলো। তার অত বাচবিচার নেই। গরুর মত গপাগপ খেয়ে শুতে চলে যায়। ফুফু যেন কি আনতে  ভেতর ঘরে  গেলো। আমি টপাক করে তার প্লেট থেকে এক মুঠ মাখানো ভাত তুলে মুখে দিলাম। ভাইয়া মৃদু স্বরে বললেন, ‘পাগল একটা’

রাত বারোটার কিছু আগে আমরা ঘুমাতে গেলাম। যদি হয় সুজন, এক কম্বলে দুজন। আজ আলাদা কম্বলের প্রয়োজন হলো না। এক কম্বলের নিচে আমরা দুজন একে অন্যকে জড়িয়ে শুয়ে আছি। দ্বীপ্ত ভাইয়া বললো, ‘জানো শুভ্র প্রেম ভালোবাসা নিয়ে বাংলা সাহিত্যে অনেক কথা বলা হয়েছে। তোমার ঠোঁট দেখে চর্যাপদের এক কবির কয়েকটি লাইন মনে পড়ছে। চর্যাপদের নাম জানো তো ? বাংলা ভাষায় রচিত সব থেকে প্রাচীন বই। এর আগে বাংলা ভাষায় লেখা কোন বইয়ের অস্তিত্ত্ব পাওয়া যায় না

 গুণ্ডরীপাদের রচিত  একটি পদ পার্থিব প্রেমের তীব্র আর্তিতে জীবন্ত: যোইণি তঁই বিণু খনহিঁ ন জীবমি।  তো মুহ চুম্বী কমলরস পীবমি।অর্থ হচ্ছে, যোগিনী, তোমাকে ছাড়া মুহুর্তকালও বাঁচব না। তোমার মুখ চুম্বন করে কমলরস অর্থাৎ পদ্মমধু পান করব।

আবার ধরো এই যে আমরা দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছি। বড়ই মধুময় এই রাত্রিযাপন। এরকম একটি চিত্রকল্প আছে অন্য এক কবির পদে। শবরপাদের একটি পদে আছে  প্রেমের সেই অপূর্ব চিত্রণ

উঁচা উঁচা পাবত তঁহি বসই সবরী বালী।
মোরঙ্গি পীচ্ছ পরহিণ সবরী গীবত
গুঞ্জরী মালী।।
উমত সবরো পাগল শবরো মা কর
গুলী গুহাডা তোহৌরি।
ণিঅ ঘরণী ণামে সহজ সুন্দারী।।
ণাণা তরুবর মৌলিল রে গঅণত
লাগেলি ডালী।
একেলী সবরী এ বণ হিণ্ডই কর্ণ
কুণ্ডলবজ্রধারী।।

অর্থাৎ’ উঁচু পর্বতে শবরী বালিকা বাস করে। তার মাথায় ময়ূরপুচ্ছ, গলায় গুঞ্জামালিকা। নানা তরু মুকুলিত হলো। তাদের শাখা’ প্রশাখা আকাশে বিস্তৃত হলো। শবর’ শবরীর প্রেমে পাগল হলো। কামনার রঙে তাদের হৃদয় রঙিন ও উদ্দাম। শয্যা পাতা হলো শবর শবরী প্রেমাবেশে রাত্রিযাপন করলো।

আর রবীন্দ্রনাথে যদি খোঁজ, তবে তুমি ভালোবাসার ...’

আমি আর বাঁধা না দিয়ে পারলাম না। এত জ্ঞানের কথা কি ভালো লাগে। নাকি দ্বীপ্ত ভাইয়া অস্বস্তি বোধ করছে বলে নিজেকে কথা বলে ব্যস্ত রাখছে। আমাকেই দেখি ফিল্ডে নামতে হচ্ছে। ‘এসব রাখো তো পন্ডিত। জ্ঞানের কথা পরে শোনা যাবে। রাত এখনো অনেক জোয়ান। এই রাত তোমার আমার। শুধু দুজনার’

আমি ভাইয়ার নাকের ডগায় আলতো করে চুমু খেলামসেও আমার কর্নমুলে চুমু খেলো। তার বলিষ্ঠ হাত আমার ঠোঁট ছুয়ে গেলো। আমি সেই ফর্সা আঙ্গুলেও চুমু একে দিলাম।তার হাত আমার গলা ছুয়ে নেমে যেতে লাগলোবুকের জমিন পেরিয়ে নাভিমুল ছাড়িয়ে আরো আরো অনেক নিচে নেমে গেলো। লুঙ্গির গিট ঢিলা হলো। তার হাত আরো নিচে নেমে গেলো। আমার সারা শরীর সুপ্ত কামনার ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরি আজ আগুনে দাউদাউ করে জ্বলে উঠলো। নি:শ্বাস ঘন হয়ে এলো। দুজন দুজনার ইঞ্চি ইঞ্চি জায়গা আজ চিনে নিতে শুরু করলাম। জিহবার তুলিতে আঁকা হলো চিত্রে ভরে গেলো সারা শরীর। বাহুমূল, বুক, পিঠ, আরো আরো সব জায়গা। ভালোবাসার পরশে মাখামাখি হয়ে গেলো বসন্তের প্রথম রাত। দুটি দেহ একই সাথে কামনার আগুনে লাল হতে লাগলো, নীল হতে লাগলো। শ্বাস দীর্ঘ হ্রস্ব হতে লাগলো বারবার। শীতের রাতে আমাদের দেহে ভিসুভিয়াসের উত্তাপ। টপটপ করে ঘামে ঝরে পড়তে লাগলো। কখনো ব্যথায় মৃদু চিৎকার, কখনোবা শিহরণের শিৎকার। শৃঙ্গার সঙ্গমে মত্ত মহাকাল। ক্লান্ত দুটি দেহ ঘুমের অতলে হারিয়ে গেলো। তবে হারিয়ে যাওয়ার আগে মুখ চুম্বনেরও আগে দুজন দুজনকে জানিয়ে দিলাম ভালোবাসা দিবসের প্রথম প্রহরে, “আমি তোমাকে ভালোবাসি।

‘আহা আজি এ বসন্তে , কত ফুল ফোঁটে, কত পাখি গায় ...
সুখে আছে যারা , সুখে থাক তারা ...’


-----------------------------------------------------------------