পায়ুকামের প্রথা প্রাচীন। লিখিত সূত্র ধরে এগোলে এর মূল খূঁজে পাওয়া যায় ইব্রাহিম আলাহিওয়াসালামের যুগ পর্যন্ত। কিন্তু যেহেতু বাইবেল থেকে উদ্ধৃতি দেবো তাই ইব্রাহিম না বলে
আব্রাহাম বলবো। বাইবেলীয় সময়ে মৃত সাগরের নিকটবর্তী এলাকায় সোদম বলে একটি
জনবসতি ছিলো। তখন তো আর ডেড সি ছিলো না। এই এলাকা ধ্বংস করে দেয়ায় ডেড সি'র
উৎপত্তি হয়েছে। বর্তমানে যে জর্ডান দেশ আছে ওখানে। কেন ধ্বংস করে দেয়া হলো
এই এলাকা। আসুন বাইবেলের পাতা উল্টাই। জেনেসিসের ১৯ নং অধ্যায়ের ৫ থেকে ৮
নম্বর বাক্য বর্ণণা করা যাক। "গড মনোক্ষুন্ন হলেন - তিনি কিছু প্রতিবেশী
শহরসহ এলাকাটি ধ্বংস করে দিতে চাইলে কিছু ভালো মানুষ যেমন তার ভাইপো লট
(আরবিতে লুত (আঃ)) এবং তার পরিবারকে রক্ষা করতে আবেদন জানালেন। গড দুজন
এঞ্জেল (দেবদূত বা ফিরিশতা) পাঠালেন ইনভেস্টিগেট করতে। নতুন মাল দেখে খুব
শীঘ্রই পায়ুকামী ব্যক্তিদের দ্বারা তারা আক্রান্ত হলেন। ঐশ্বরিক অথিতিদের
রক্ষা করার লক্ষ্যে লট তার যুবতী দুই কন্যাকে জনসন্মুখে হাজির করে করে
বললেন, এদেরকে নাও, এরাও ভার্জিন!"
আপাতত বাইবেল বন্ধ করেন। একটা প্রশ্ন রাখি। হোক লুত নবী ছিলেন। কিন্তু তিনি তো একজন পিতা ছিলেন। একজন পিতা কিভাবে পারেন সমকামিতাকে বন্ধ করতে নিজের মেয়েদেরকে গণধর্ষণের মুখে ঠেলে দিতে যারা কিনা কুমারী ছিলো, যাদের সত্বীচ্ছদ পর্দা তখনো ফাঁটে নাই। যাই হোক এই সব জটিল প্রশ্নের সহজ উত্তর দেয়ার কেউ নাই। প্রশ্ন করলে পাদ্রী থেকে মৌলভী তেড়ে মারতে আসে। আসুন বাইবেল থেকে আল কোরআনে যাই। পবিত্র কোরআনের ১৪ জায়গায় সমকামিতার উল্লেখ আছে। এক জায়গায় সমকামিতার অপরাধে সোদম ও গোমরাহ নগরবাসী তথা আদ, সাদ ও লুত (আঃ) এর কওমকে ধ্বংস করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ফিরিশতা জিবরাইল (আঃ) এসে ঐ স্থানকে উলটে দিলে মৃত সাগরের জন্ম হয়। মৃত সাগরের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত লবনের উপস্থিতির কারণে সেখানে কোন প্রাণী জন্মে না। এজন্যি এটার নাম মৃত সাগর। অতিরিক্ত লবনের ঘনত্বের কারণে আপনি এখানে ভেসে থেকে পেপার পর্যন্ত পড়তে পারবেন। ইংরেজীতে পায়ুকামকে সোডোমি বলে যা এই সোদম নগরের নাম থেকে এসেছে।
এইবার ধর্মীয় বই থেকে চলেন ইতিহাস পড়ি। ইতিহাসে সমকামীতার উদাহরণ ভূরি ভূরি। গ্রীক রোমান যুগে এটা তো উচ্চমার্গে পৌঁছে গিয়েছিলো। মহামতি আলেক্সান্দার দ্যা গ্রেটের বয়ফ্রেন্ড ছিলো। এমনকি সেই সমাজে প্রকাশ্যে সমকামিতা প্রচলিত ছিলো। যারা আলেক্সান্ডার চলচ্চিত্রটি দেখেছো তারা নিশ্চয় একটা দৃশ্যে দেখেছো যুবক আলেক্সান্ডারের পিতা সম্রাট (নাম মনে পড়ছে না) প্রকাশ্য পার্টিতে আগত এক যুবকে চেপে ধরে মেরে দিলেন। তবে সেটা মোরগ সেক্সের মত এত সংক্ষিপ্ত ছিলো যে ঠোঁটের কোনায় হাসি আসলোই। একটা মজার আইনের কথা বলে আজকের কচকচানি শেষ করবো। আমি জানি সবাই না হলেও অনেকেই তোমরা এই দীর্গ স্ট্যাটাসের এই পর্যন্ত চলে এসেছো। গ্রীকো-রোমান যুগের শেষ ভাগে সমকামিতা তার সৌন্দর্য্য হারায়। তখন নারীকামিতাই সেক্সের মূখ্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়ায়। এই সময় পেডিকো বলে একটা আইনের প্রচলন হয়। নারী পুরুষের যে কেউই এই আইনে শাস্তি পেতো। এই আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি পা* মারার সুযোগ পেতো। অথবা অভিযুক্ত ব্যক্তি বিশাল সাইজের একটি র্যাডিশ বা মুলা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারতো। কোথায় নিয়ে দাঁড়াতে হতো সেটা আমাকে জিজ্ঞেস না করে শেরপুরের নাঁটাকে জিজ্ঞেস করো। গুগল সার্চ থেকে জানা যায় সে এই বিষয়ে যুক্তরাজ্যের মিডলসেক্স ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রিধারী! লুল।