blogger widgets
শুভ্র ভাই এর লেখালেখির জগতে স্বাগতম! Welcome!

আল ফাতিহা

প্রতিটি সমকামী মানুষ বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত বাস করে। জনারণ্যের মাঝেও তারা একলা পথিক। সমস্যা, কষ্টগুলো তারা নিজের মাঝেই পুষে রাখে পোষা পাখির মত। তবে কিছু কিছু সমকামী মানুষ আছেন। যারা ব্যতিক্রম। যারা অন্য সমকামীদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। অধিকাংশ সমকামী সংগঠন খ্রিস্টানদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় গোঁড়া মুসলিম স্কলাররা এগুলোকে বিজাতীয় তকমা লাগিয়ে দিয়েছেন। আচ্ছা এমন কি কোন মুসলিম সমকামী প্রতিষ্ঠান নেই? আছে। আল ফাতিহা এমনই একটি প্রতিষ্ঠান। মুসলিম সমকামী ব্যক্তিদের সমর্থন দিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় আল ফাতিহা। আল ফাতিহা শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। আল ফাতিহা পবিত্র আল কোরআনের প্রথম সুরা। আল ফাতিহা মানে শুরু।
১৯৯৭ সালে পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত আমেরিকান নাগরিক ফয়সাল আলম আল ফাতিহা প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধিত ছিলো।


ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠান ২৫ টি দেশে কার্যক্রম শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রতিষ্ঠানের ১৪ টি চ্যাপ্টার ছিলো। এছাড়া ইংল্যান্ড, কানাডা, স্পেন, তুরস্ক এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় অফিস ছিলো। সুরা আল ফাতিহায় আল্লাহ সুবহানু তায়ালাকে দয়াশীল এবং ক্ষমাশীল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। আল ফাতিহা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাগণ বিশ্বাস করতেন এই প্রতিষ্ঠান ঘৃণা এবং সমকামীবিদ্বেষ লাঘবে কাজ করবে। আল ফাতিহা প্রতিবছর একটি করে কনফারেন্সের আয়োজন করতো।


২০০১ সালে আল মুহাজিরুন নামের একটি সংগঠন ফতোয়া জারী করে যে, আল ফাতিহার সকল সদস্য মুরতাদ এবং তাদেরকে হত্যা করতে হবে। সমাজের হুমকি ধামকি এবং রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে এই প্রতিষ্ঠানের সদস্যগণ নিজেদেরকে আড়াল করতে বাধ্য হন। ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ফয়সাল আলম প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। এর পরে বেশ কিছু নেতা প্রতিষ্ঠানটির হাল ধরলেও হালে পানি আনতে পারেননি। ফলস্বরূপ ২০১১ সালে আল ফাতিহা প্রতিষ্ঠানটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।



-----------------------------------------------------------------