রংধনু পতাকার ইতিহাস। আসলেই কি এই পতাকার কোন ইতিহাস আছে? একটি সত্যিকারে পতাকার নকশা করা যায় না, তা জনগনের আত্মা থেকে ছিঁড়ে আনতে হয়। যেটা হয়ে ওঠে গনমানুষের পতাকা। তোমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন কেন রংধনু পতাকা নিয়ে এত মাতামাতি। কেন সবাই প্রোফাইলে রংধনু পতাকা লাগাচ্ছে। তোমরা সবাই কেনর উত্তর জানতে চাও। গুগলে সার্চ দিলে সহজেই পেয়ে যেতে। তবু ইতিহাসস জানতে সবারই অনিহা। আমি কিছুদিন তোমাদের ইতিহাস জানানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তোমরা সবাই বলো এগুলো জেনে কি লাভ! আমিও ভাবি এগুলো তোমাদের জানিয়ে কি লাভ। তোমরা নগদে সব লভ্যাংশ পেতে চাও। মোঘলদের ইতিহাস জেনে কি লাভ? তবু ইতিহাসের বইয়ে কেন ওগুলো পড়ানো হয়?
১৯৭০ সালের কথা। কানসাসে বেড়ে ওঠা যুবক গিলবার্ট বেকার। আর্মির চাকরি নিয়ে স্যান ফ্রান্সিসকোতে চলে আসেন। সেনাবাহিনী থেকে সম্মানজনক অব্যহতি পাওয়ার পরে বেকার স্যান ফ্রান্সিসকোতে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তার একজন শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন ছিলো। তিনি স্বপ্ন পূরণের পথে এগোতে চাইলেন। তিনি সেলাই শিখলেন। সত্তরের দশকের নজরকাড়া পোষাক সব তৈরী করতে লাগলেন।
১৯৭৪ সালে বেকারের সাথে মিল্কের পরিচয় হয়। মিল্ক বেকারকে দেখান কিভাবে কাজ পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়। তিন বছর পরে মিল্ক স্যান ফ্রান্সিসকোর বোর্ড অফ সুপারভাইজার নির্বাচিত হন। তিনি প্রথম প্রকাশ্য সমকামী ব্যক্তি যিনি আমেরিকার বড় একটি শহরের সরকারী উচ্চ পদে পৌঁছাতে সক্ষম হন। তাও জনগণের ভোটে। কাস্ত্রো সেন্টের মেয়র থাকার সময়ে মিল্ক সমকামী যুবকদের আশার বাণী শোনানোর জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি সবসময় বলতেন, "তারা (সমকামী যুবকেরা) একমাত্র আশা খোঁজে এবং তোমাদের (জনগণের) উচিত তাদের আশা দেওয়া।'' একদা সমকামী ব্যক্তিগন নিজেদের প্রতীক হিসেবে গোলাপী ত্রিভুজ ব্যবহার করতো। মূলত হিটলারের নাৎসী বাহিনী সমকামীদের চিহ্নিত করে হত্যা করার জন্য এই গোলাপী ত্রিভুজ ব্যবহার করতো। নির্বাচিত হওয়ার পরে মিল্ক গিলবার্টকে চ্যালেঞ্জ করলেন, সমকামী সম্প্রদায়ের জন্য এমন একটি প্রতীক তৈরী করতে যা নিয়ে তারা গর্ব করতে পারে।
১৯৭০ সালের কথা। কানসাসে বেড়ে ওঠা যুবক গিলবার্ট বেকার। আর্মির চাকরি নিয়ে স্যান ফ্রান্সিসকোতে চলে আসেন। সেনাবাহিনী থেকে সম্মানজনক অব্যহতি পাওয়ার পরে বেকার স্যান ফ্রান্সিসকোতে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তার একজন শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন ছিলো। তিনি স্বপ্ন পূরণের পথে এগোতে চাইলেন। তিনি সেলাই শিখলেন। সত্তরের দশকের নজরকাড়া পোষাক সব তৈরী করতে লাগলেন।
১৯৭৪ সালে বেকারের সাথে মিল্কের পরিচয় হয়। মিল্ক বেকারকে দেখান কিভাবে কাজ পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়। তিন বছর পরে মিল্ক স্যান ফ্রান্সিসকোর বোর্ড অফ সুপারভাইজার নির্বাচিত হন। তিনি প্রথম প্রকাশ্য সমকামী ব্যক্তি যিনি আমেরিকার বড় একটি শহরের সরকারী উচ্চ পদে পৌঁছাতে সক্ষম হন। তাও জনগণের ভোটে। কাস্ত্রো সেন্টের মেয়র থাকার সময়ে মিল্ক সমকামী যুবকদের আশার বাণী শোনানোর জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি সবসময় বলতেন, "তারা (সমকামী যুবকেরা) একমাত্র আশা খোঁজে এবং তোমাদের (জনগণের) উচিত তাদের আশা দেওয়া।'' একদা সমকামী ব্যক্তিগন নিজেদের প্রতীক হিসেবে গোলাপী ত্রিভুজ ব্যবহার করতো। মূলত হিটলারের নাৎসী বাহিনী সমকামীদের চিহ্নিত করে হত্যা করার জন্য এই গোলাপী ত্রিভুজ ব্যবহার করতো। নির্বাচিত হওয়ার পরে মিল্ক গিলবার্টকে চ্যালেঞ্জ করলেন, সমকামী সম্প্রদায়ের জন্য এমন একটি প্রতীক তৈরী করতে যা নিয়ে তারা গর্ব করতে পারে।
মহা উৎসাহে বেকার কাজ শুরু করলেন। বেকার জুডি গার্লান্ডের গাওয়া, ওভার দ্যা রেইনবো থেকে অনুপ্রেরণা নেন। তিনি নিজ হাতে সুতায় রঙ করলেন। ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবকের সহায়তায় আট রঙা বিশাল দুইটি পতাকা সেলাই করলেন। বেকার প্রতিটি রঙের ব্যাখ্যা লিখলেন।
- গোলাপী- সেক্স্যুয়ালিটি বা যৌনতা
- লাল - জীবন
- কমলা - হিলিং
- হলুদ - সূর্য
- সবুজ - প্রকৃতি
- আসমানী - শিল্প
- নীল - শান্তি
- বেগুনী - উদ্দীপনা
এখান থেকেই মূলত শুরু। ১৯৭৮ সালে স্যান ফ্রান্সিসকোতে ''গে ফ্রিডম ডে''র আয়োজন করা হয়। এখানে হাতে তৈরী বেকারের কিছু রংধনু পতাকা ওড়ানো হয়। পরবর্তীতে বেকার প্যারামাউন্ট ফ্লাগ কোম্পানীর সাথে মিলে অধিক পরিমানে পতাকা তৈরী শুরু করেন। প্যারামাউন্ট সাতরঙা পতাকা তৈরী শুরু করে।
১৯৭৮ সালের ২৭ নভেম্ভর সকালে মেয়র জর্জ মোসকেন এবং সুপারভাইজার হার্ভে মিল্ক সিটি হলে আততায়ীর হাতে খুন হন। স্যান ফ্রান্সিসকো্র সমকামী সম্প্রদায় এই ঘটনায় ব্যথিত হয়। গে ফ্রিডম ডে কমিটি ১৯৭৯ সালের গে ফ্রিডম ডে প্যারেডের সময়ে মার্কেট স্ট্রিটের দুই পাশের লাইট পোস্টে সাতরঙা পতাকা ওড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। তারা রংগুলোকে দুই ভাগে বিভক্ত করে দুইটি পতাকা তৈরী করে রাস্তার দুইপাশে টাঙালেন। তিন=তিন রঙ ব্যালান্স করতে তারা নীল রংটিকে বাদ দিলেন।
ছয় স্ট্রাইপের রংধনু পতাকা অচিরেই স্যান ফ্রান্সিসকোর অনেক বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উড়তে শুরু করলো। একই সময়ে গর্ব এবং আশার প্রতীক হিসেবে কফি মগ, টি শার্ট, বাম্পার স্টিকার ইত্যাদিতে রংধনু পতাকার নকশার ব্যবহার শুরু হলো।
আর এখন আমরা ফেসবুক প্রোফাইলে সাতরঙা আলপনা আঁকি।

সাতরং নিজের সত্ত্বাকে প্রকাশের রঙ
1 টি মন্তব্য:
নতুন নতুন Choti Golpo পড়তে ভিজিট করুন
Bangla Choti Golpo
VALOBASARGOLPO2.XYZ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন