আমি ফেসবুকে খুব এক্টিভ হলেও চ্যাটে অতটা আন্তরিক নই তা তোমরা অনেকেই জানো। আসলে অনেক বছর ধরে চ্যাট করছি। ২০০৮ থেকে। সেই একই ধরণের চ্যাট। হাতে গোনা কিছু মানুষ বাদে অধিকাংশের চ্যাটিংয়ের বিষয় এজ সেক্স লোকেশান। এদের কাছে মনের থেকে ধোন বড়।
তবে মাঝে মাঝে চ্যাটিং করি। একদিন খুব চ্যাটিং করছি। চারমাসে ইনবক্সে জমে থাকা সব মেসেজের উত্তর দিচ্ছি। কে কোথায় থাকে, কি খায়, কি পরে পারলে সব জিজ্ঞেস করছি। আজ বিশেষ একজনের সাথে চ্যাটিংয়ের কথা লিখছি। ধরি ছেলেটার নাম কালু কুমার। তো চ্যাটিং বেশ এগিয়েছে। আমি কালুকে জিজ্ঞেস করলাম। কোথায় পড়? কালু তার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বললো। আমি সচকিত হলাম। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আমার একটু বেশী পরিচিত। কারন? কারণ ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ছোট ভাই পড়ছে। তবে এমন পাত্তা দিলাম না। বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার দশেক ছেলে পড়াশোনা করে সব ইয়ার মিলিয়ে। তার মধ্যে কিছু লোক রঙধনু রঙের মানুষ হতেই পারে। এতে আর এমন হওয়ার কি আছে।
পরের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলাম, কোন সাব্জেক্টে পড়ো? কালু তার সাব্জেক্টের নাম বললো। আমার বুক ধড়াস করে উঠলো। হ্যাতে কয় কি! হালায় দেখি আমার ছোট ভাইয়ের সাব্জেক্টের নাম কয়। দুরু দুরু বুকে ধৈর্য্য ধরে কালুর সাথে চ্যাটিং করে যেতে লাগলাম। কালু এরই মধ্যে ছবি দেন, ছবি দেন ক্যাচাল শুরু করেছে। ভাইয়ের সাব্জেক্টে পড়ে তো কি হয়েছে। এক সাব্জেক্টে জট টট মিলিয়ে পাঁচ ছয় ব্যাচ থাকে। জিজ্ঞেস করবো না করবো করে জিজ্ঞেস করেও করলাম, কোন ইয়ারে পড়ছো। কালু আমাকে পুরাই হতাশ করলো। সে আমার ভাইয়ের ইয়ারমেট।
হ্যাঁ তোমাদের মাথায় এখন যে প্রশ্নটি আসছে আমার মাথায় সেই একই প্রশ্ন এসেছিলো। এ কি আমার ভাইয়ের ক্লাস মেট নাকি ভাইয়ের ফেক আইডি! নিজেকেই প্রশ্ন করলাম, ছোট ভাইটিও যদি আমার মত রঙধনু রঙের মানুষ হয় তবে কি আমি সেটা মেনে নিতে পারবো? না পারবো না। এই জীবনের যে কষ্ট আমি দেখেছি আমি চাই না আমার কোন ছোট ভাই সেই কষ্টের জীবন পাক। সমাজ যাকে স্বাভাবিক জীবন বলে সেই জীবনেই তারা সুখী হোক এটাই আমি চাই। আমি কালুর সাথে চার ঘন্টা চ্যাটিং করে তার ছবি নিলাম। এবার কালুকে দূরে সরিয়ে দেয়ার পালা। কিছু জীবন, কিছু মানুষ, কিছু ঘটনা থেকে দূরে সরে যেতে হয়। তাতে সবারই মঙ্গল হয়। আমি মানুষ থেকে দূরে সরে যেতে পারলে ঘটনা থেকে সরে যেতে পারি না। অনেক সময় কারেন্ট জালে ইলিশ মাছের মত আটকে যাই।
এটুকু আশাবাদী যে ছোট ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ড আছে। যার সাথে খিটিমিটি হলে দুজনের ফেসবুক আইডিতে সেটা প্রকাশ পায় রূপক কথাবার্তায়। আর বড় ভাই হিসেবে বুঝেও আমি সেটা বুঝিনি ভাবে কথা বলি। আমার ছোট ভাইটা বিশাল সামাজিক। তার ডিপার্টমেন্টের সবাইকে তার আইডিতে পাওয়া যায়। আমি মহাধৈর্য নিয়ে তার ফ্রেন্ডলিস্ট দেখতে বসলাম। লক্ষ্য কালুকে খুঁজে বের করা। কারণ ছোট ভাইয়ের ডিপার্টমেন্টের এক পাল বন্ধু আমার রিয়েল আইডির ফ্রেন্ডলিস্টে আছে। ছবি দেখে মানুষ বের করা দুশোর মত প্রোফাইল দেখার কালুকে খুঁজে পেলাম। খাইছে। কালু আমার রিয়েল আইডিতেও আছে। দুদিন চ্যাটিং হইছিলো। হিস্টোরি থেকে দেখলাম দুই আইডিতেই কালু তার বাড়ির ঠিকানা একই বলেছে। বিদায় কালু। দুই আইডিতেই কালুর দুই আইডি ব্লক করলাম। দরজা বন্ধ করলেই যে বিপদ আসা বন্ধ হবে তা নয়। তাই বলে বিপদ আসুক বলে আমি দরজা খুলে রাখতে পারিনা।
একদিন ছোট ভাইয়ের সাথে তার ফ্রেন্ডদের কে কেমন পড়াশোনা করছে টাইপ আলাপ শুরু করলাম। এক সময় আমি কালুর কথা জিজ্ঞেস করলাম। ছোট ভাই কয়, “তুই আর কি ফেসবুক ইউজ করিস। ওতো ফেসবুকের পোকা। সবসময় ফেসবুকে থাকে। ক্লাসেও বসে ফেসবুক টেপে। স্যারেদের বকা খায় কিন্তু সোজা হয় না। মাঝারি মানের ছাত্র। ব্যবহার ভালো। কিন্তু অমিশুক।”
এভাবেই জীবন এগিয়ে যাবে রঙধনু রঙে...
তবে মাঝে মাঝে চ্যাটিং করি। একদিন খুব চ্যাটিং করছি। চারমাসে ইনবক্সে জমে থাকা সব মেসেজের উত্তর দিচ্ছি। কে কোথায় থাকে, কি খায়, কি পরে পারলে সব জিজ্ঞেস করছি। আজ বিশেষ একজনের সাথে চ্যাটিংয়ের কথা লিখছি। ধরি ছেলেটার নাম কালু কুমার। তো চ্যাটিং বেশ এগিয়েছে। আমি কালুকে জিজ্ঞেস করলাম। কোথায় পড়? কালু তার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বললো। আমি সচকিত হলাম। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আমার একটু বেশী পরিচিত। কারন? কারণ ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ছোট ভাই পড়ছে। তবে এমন পাত্তা দিলাম না। বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার দশেক ছেলে পড়াশোনা করে সব ইয়ার মিলিয়ে। তার মধ্যে কিছু লোক রঙধনু রঙের মানুষ হতেই পারে। এতে আর এমন হওয়ার কি আছে।
পরের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলাম, কোন সাব্জেক্টে পড়ো? কালু তার সাব্জেক্টের নাম বললো। আমার বুক ধড়াস করে উঠলো। হ্যাতে কয় কি! হালায় দেখি আমার ছোট ভাইয়ের সাব্জেক্টের নাম কয়। দুরু দুরু বুকে ধৈর্য্য ধরে কালুর সাথে চ্যাটিং করে যেতে লাগলাম। কালু এরই মধ্যে ছবি দেন, ছবি দেন ক্যাচাল শুরু করেছে। ভাইয়ের সাব্জেক্টে পড়ে তো কি হয়েছে। এক সাব্জেক্টে জট টট মিলিয়ে পাঁচ ছয় ব্যাচ থাকে। জিজ্ঞেস করবো না করবো করে জিজ্ঞেস করেও করলাম, কোন ইয়ারে পড়ছো। কালু আমাকে পুরাই হতাশ করলো। সে আমার ভাইয়ের ইয়ারমেট।
হ্যাঁ তোমাদের মাথায় এখন যে প্রশ্নটি আসছে আমার মাথায় সেই একই প্রশ্ন এসেছিলো। এ কি আমার ভাইয়ের ক্লাস মেট নাকি ভাইয়ের ফেক আইডি! নিজেকেই প্রশ্ন করলাম, ছোট ভাইটিও যদি আমার মত রঙধনু রঙের মানুষ হয় তবে কি আমি সেটা মেনে নিতে পারবো? না পারবো না। এই জীবনের যে কষ্ট আমি দেখেছি আমি চাই না আমার কোন ছোট ভাই সেই কষ্টের জীবন পাক। সমাজ যাকে স্বাভাবিক জীবন বলে সেই জীবনেই তারা সুখী হোক এটাই আমি চাই। আমি কালুর সাথে চার ঘন্টা চ্যাটিং করে তার ছবি নিলাম। এবার কালুকে দূরে সরিয়ে দেয়ার পালা। কিছু জীবন, কিছু মানুষ, কিছু ঘটনা থেকে দূরে সরে যেতে হয়। তাতে সবারই মঙ্গল হয়। আমি মানুষ থেকে দূরে সরে যেতে পারলে ঘটনা থেকে সরে যেতে পারি না। অনেক সময় কারেন্ট জালে ইলিশ মাছের মত আটকে যাই।
এটুকু আশাবাদী যে ছোট ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ড আছে। যার সাথে খিটিমিটি হলে দুজনের ফেসবুক আইডিতে সেটা প্রকাশ পায় রূপক কথাবার্তায়। আর বড় ভাই হিসেবে বুঝেও আমি সেটা বুঝিনি ভাবে কথা বলি। আমার ছোট ভাইটা বিশাল সামাজিক। তার ডিপার্টমেন্টের সবাইকে তার আইডিতে পাওয়া যায়। আমি মহাধৈর্য নিয়ে তার ফ্রেন্ডলিস্ট দেখতে বসলাম। লক্ষ্য কালুকে খুঁজে বের করা। কারণ ছোট ভাইয়ের ডিপার্টমেন্টের এক পাল বন্ধু আমার রিয়েল আইডির ফ্রেন্ডলিস্টে আছে। ছবি দেখে মানুষ বের করা দুশোর মত প্রোফাইল দেখার কালুকে খুঁজে পেলাম। খাইছে। কালু আমার রিয়েল আইডিতেও আছে। দুদিন চ্যাটিং হইছিলো। হিস্টোরি থেকে দেখলাম দুই আইডিতেই কালু তার বাড়ির ঠিকানা একই বলেছে। বিদায় কালু। দুই আইডিতেই কালুর দুই আইডি ব্লক করলাম। দরজা বন্ধ করলেই যে বিপদ আসা বন্ধ হবে তা নয়। তাই বলে বিপদ আসুক বলে আমি দরজা খুলে রাখতে পারিনা।
একদিন ছোট ভাইয়ের সাথে তার ফ্রেন্ডদের কে কেমন পড়াশোনা করছে টাইপ আলাপ শুরু করলাম। এক সময় আমি কালুর কথা জিজ্ঞেস করলাম। ছোট ভাই কয়, “তুই আর কি ফেসবুক ইউজ করিস। ওতো ফেসবুকের পোকা। সবসময় ফেসবুকে থাকে। ক্লাসেও বসে ফেসবুক টেপে। স্যারেদের বকা খায় কিন্তু সোজা হয় না। মাঝারি মানের ছাত্র। ব্যবহার ভালো। কিন্তু অমিশুক।”
এভাবেই জীবন এগিয়ে যাবে রঙধনু রঙে...
1 টি মন্তব্য:
নতুন নতুন Choti Golpo পড়তে ভিজিট করুন
Bangla Choti Golpo
VALOBASARGOLPO2.XYZ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন