সে অনেক দিন আগের কথা। এক দেশে ছিলো দুই
বন্ধু। রোহান এবং ফারহান। তাদের মধ্যে অনেক অমিল ছিলো। একজনের গাঁয়ের রঙ কার্তিকের
মত। অন্যজন ঠিক যেন কৃষ্ণ ঠাকুর। একজন চপল
স্বভাবের অন্যজন বেশ চাপা। অমিল খুঁজলে তুমি হাজার অমিল খুঁজে পাবে। তবে তাদের
মধ্যে একটা মিল ছিলো। দুজনেই সমকামী। দুজনেই
সমকামী হলে কি হবে, কেউ
কারো সাথে কিন্তু সেক্স করতে পারে না। তারা দুজনেই বটম। তাদের মধ্যে বেশ মিল। তারা
এক সাথে খায় দায় ঘুমায়, ঘুরতে যায়। সেক্স পার্টনার নিয়ে তাদের মধ্যে ঈর্ষাকাতরতা
বেশ প্রবল। একবার তারা দুজন মিলে গেলো বান্দরবানে। বান্দরের সাথে সেক্স করতে নয়,
বান্দরবনের সৌন্দর্য্য দেখতে। হাঁটতে হাঁটতে তারা গভীর বনে চলে গেল। এক সময় তারা
একটা বিশাল পুরাতন এক মহীরূহের সামনে এসে দাঁড়াল। ফারহান ক্লান্ত ছিলো। সে গাছের
গাঁয়ে ঠেস দিয়ে বসে পড়ল। গাছটি হঠাৎ নড়ে উঠে মানুষের স্বরে কথা বলে উঠল। গাছটি
বলল, আমি ইচ্ছাপূরণ বৃক্ষ। আমি তোমাদের তিনটি ইচ্ছা পূরণ করব। রোহান, ফারহান
দুজনেই আনন্দে লাফিয়ে উঠল। রোহান প্রথম বর চাইলো, “আমি চাই আমি বাদে এই এলাকার সকল পুরুষ টপ হয়ে যাক”
ইচ্ছা পূরণ হল।
ফারহানঃ আমি চাই একটি বিএমডব্লিউ গাড়ী ।
রোহানঃ আমি চাই আমি বাদে এই দেশের সব
সুদর্শন পুরুষ টপ হয়ে যাক।
ফারহানঃ আমি চাই পৃথিবীর সকল পুরুষ যৌনরোগ
মুক্ত হয়ে যাক।
রোহান ভাবলো, ফারহানটা চিরোকাল টিউবলাইট
রয়ে গেলো। আরে পৃথিবীর সব পুরুষ টপ হয়ে গেলে তুইও হয়ে যাবি। আর তোকে আমি পাত্তাই
দেব না।
রোহানঃ আমি চাই আমি বাদে পৃথিবীর সব
পুরুষ টপ হয়ে যাক।
ফারহানঃ আমি চাই রোহান টপ হয়ে যাক।
ইচ্ছাপূরণ বৃক্ষ সাথে সাথে দুজনের তিনটি
করে ইচ্ছাপূরণ করে দিয়ে নিশ্চুপ হয়ে গেলো। রোহান প্রথমে বুঝতে পারেনি। যখন বুঝতে
পারলো তখন সে গাছের গাঁয়ে মাথা ঠুকতে লাগলো। সে শারীরিকভাবে টপ হয়ে গেলেও
মানসিকভাবে বটম রয়ে গেছে। এখন কি হবে। সে কেঁদে ফেলল। ফারহান কাছে এসে কাঁধে হাত
রেখে দাঁড়ালো। রোহান চোখ তুলল। তারা চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। ফারহান সব কাপড় খুলে
গাছের ডালে ঝুলিয়ে রেখেছে। সে মিটিমিটি হেসে ফারহানকে বলল, “দোস্ত, জীবনে প্রথমবার
টপ রোল প্লে করতে যাচ্ছিস। সাহস রাখ”
{কৌতুক শেষ। আমি সবসময় চেনা কৌতুকে একটু
মশলা মাখিয়ে পরিবেশন করি। স্বাদ পেলে খাও, না পেলে যাও। আমার এই কৌতুকটি আমি
উৎসর্গ করলাম আমার কলিজার বন্ধু ফারহান এবং দেশী ফার্মের মুরগী রোহান কে।}
0 টি মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন