blogger widgets
শুভ্র ভাই এর লেখালেখির জগতে স্বাগতম! Welcome!

অওসস

অনুগল্প-০১

প্রিন্সের সাথে জীবনের পরিচয় ম্যানজামে। রাত দশটার সময় প্রিন্স জীবনকে শাহবাগ থেকে তার বাইকে চড়িয়ে বাসায় বিয়ে এসেছে। তাদের মধ্যে দুই বার সেক্সও ইতোমধ্যে সংঘটিত হয়েছে। প্রিন্স ঘুমিয়েছিলো। হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো। ওপাশ থেকে জীবনের গলা শোনা গেলো। একরাশ বিরক্তি, দশটার সময় তোমার আমাকে নিতে আসার কথা, আর কতক্ষণ ওয়েট করবো?

প্রিন্স পাশ ফেরে। জীবন যদি তার জন্য শাহবাগে ওয়েট করছে তাহলে জীবনের মত দেখতে তার পাশে এ কে শুয়ে আছে?

জমিদার পুত্র

সে অনেক দিন আগের কথা। বাংলাদেশের কোন এক বিরাট জমিদার পুত্রের গল্প। রাজ বাদশা জমিদার এরা অবাধ যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিলো। সেক্সের ক্ষেত্রে পাপ জিনিসটা তারা খুব একটা বিশ্বাস করত বলে ইতিহাসে সাক্ষী পাওয়া যাবে না। ছেলে মেয়ে যাকেই পছন্দ হোক তাকে তুলে নিয়ে আসত হেরেমে। মনের খায়েস মিটিয়ে ঝাঁকাতো বাঁকাতো সেই দেহটাকে। অধিকাংশ সময় দেখা যেত কয়েকবার রাগরস ক্ষরণের পর ছুড়ে দিত দেহটাকে। আবার নতুন দেহ খুঁজত জৈবিক তাড়নায়। জমিদার মশাইয়ের একটা পুত্র সন্তান ছিলো। জমিদার সাহেব চাইতেন তার পুত্র যৌনতায় তাকে ছাড়িয়ে যাক। কিন্তু জমিদারের দুর্ভাগ্য। জমিদার তনয়ের নারী আসক্তি ছিলো না। সে পুরুষাসক্ত। জমিদার এটাকে অন্যায় মনে করেনি। কিন্তু পুত্র যে তার দেয়ার চেয়ে নেয়াতেই পটু। নুনুখোর পোলা নিয়ে তিনি করবেন টা কি! একমাত্র পুত্র। ফেলে দেয় কিভাবে। জমিদার বেশ কিছুদিন মন খারাপ করে থাকলেন। তারপর ব্যাপারটা মেনে নিলেন।

ছেলেটার সুখের জন্য তিনি গুপ্তচর লাগালেন। তার ও আশপাশের জমিদারের এলাকায় বড় পুরুষাঙ্গ যুক্ত ব্যক্তি খুঁজে আনার জন্য। গুপ্তচর বেশ কয়েকজন তাগড়া যুবক ধরে আনলো। তাদেরকে নগ্ন করে জমিদারের সামনে দাঁড় করানো হলো। জমিদার প্রায় অজ্ঞান হবার জোগাড়। একজনের যৌনাঙ্গের সাইজ সাড়ে আঠারো ইঞ্চি। ও হরি। এটা কিভাবে সম্ভব। জমিদারপুত্রের মনোরঞ্জনের জন্য তাকেই নির্বাচন করলেন। লোকটার নাম মদন।

মদনের সাথে পুত্রের প্রথম মিলনের রাতকে ফুলসজ্যার মত করে সাজিয়ে দিলো সাজার চেলারা। পুত্র মদনের সাথে রতিকর্ম কমে খুবই তৃপ্ত হলো। বাবার প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা ভালোবাসা তার কয়েক হাজার গুন বেড়ে গেলো। মদন জিংসিং না খেলে কি হবে তার শক্তি দেখার মত। কুকুরের মত জোড়া লাগলে আর ছাড়ে না। পুত্র উত্তেজনায় বেশ কয়েকবার চিৎকার দিতে বাধ্য হলো।

এদিকে জমিদার সাহেব সারারাত ঘুমাতে পারলেন না। মহা দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি। এত বড় জিনিস পুরোটা ঢুকালে যদি তার পুত্র মারা যায় তবে তো তিনি নির্বংশ হবে। বংশরক্ষা না হলে তো তার স্বর্গলাভ হবে। কিছু একটা করা দরকার।

পরদিন ভোরে চারদিক ফর্সা হওয়ার আগেই জমিদারের চামচা গিয়া মদনকে ধরে নিয়ে এলো। জমিদারের সামনে মদনের পুরুষাঙ্গ মেপে অর্ধেকে একটা লাল ফিতা বেঁধে দিলো। আর কড়া করে নির্দেশ দিলেন, এর বেশী ঢুকালে তোমার গর্দান নেন। জমিদার, রাজা বাদশারা যে কথায় কথায় ধড় থেকে মুন্ডু আলাদা করতে ওস্তাদ সে আর নতুন কি।

দ্বিতীয় রাতে জমিদারের কথামত মদন অর্ধেকটাই ঢুকালো। কিন্তু জমিদার পুত্র মোটেও মজা পাচ্ছে না। সে বলল, “ কালকে ছিলো পুরো, আজকে কেন আঁধা ”
মদনঃ তোমার বাবার লাল ফিতা যে আমার ধোনে বাঁধা।
জমিদারপুত্রের রাগ হলো। সে মহা ক্ষেপে বললঃ মারো গুতা, ছিঁড়ুক ফিতা, বাবার গালে পড়ুক জুতা।
ওইদিকে জমিদার মশাই দরজার পাশে দাঁড়িয়ে পরীক্ষা করছিলেন মদন তার কথা শুনে কিনা।

কিন্তু পুত্রের এই কথায় তিনি রাগে চিৎকার করে উঠলেন, "ওরে মদনা, দে ভইরা, সাউয়ার পোলা জাকগা মইরা।”



বিঃদ্রঃ নিজ দ্বায়িত্বে পড়িবেন। হস্তমৈথুনের জন্য কোনক্রমে শুভ্র ভাই দায়ী নহে।

সমকামী মুসলমান হওয়াই কি অপরাধ?

আজকাল ফেসবুকে এক শ্রেণীর মানুষের মাঝে নিজেকে গোপন করার তত্ত্ব প্রকাশ করতে দেখছি। তাদের মত না হলে নাস্তিকদের মত সমকামীদেরও উগ্র মৌলবাদীদের জিঘাংশার শিকার হতে হবে। নিজের হৃদয়াপোলব্ধি থেকে আমি বুঝতে পারি আমার ছেলেদের আকর্ষন কাজ করে এবং জীবনের বাকী অংশ একজন পুরুষের সাথে কাটিয়ে দেয়ার বাসনা হৃদমাঝারে অংকুরিত হয়। আচ্ছা সমকামী হওয়ার কারণে আল্লাহ সুবহানু তায়ালা কি আমাকে ঘৃণা করেন? আল্লাহ এই সমগ্র বিশ্বজাহান সৃষ্টি করেছেন। এবং তিনি এও এরশাদ করেছেন যে বিনাকারণে তিনি কোন কিছু সৃষ্টি করেন নাই। সন্তান যতবড় অপকর্ম করুক না কেন একজন পিতা মাতা তার সন্তানকে কখনো ঘৃণা করেন না। তাহলে স্রষ্টা কিভাবে তার আপন সৃষ্টিকে ঘৃণা করবেন। তিনি তো রহমানির রহিম।

শুধু মুসলিম বললে ভূল হবে বাঙালি সমাজের লোকেরা সকল হিজড়াকে সমকামী হিসেবে জানে। মা অনেক সময় বলেন, "তোমার কোন সমস্যা হলে আমাকে বলবে, কারণ আমার মত কেউ তোমার আপন হবেনা "। আমি আমার বাবা মাকে সব সত্য বলে দিতে চাই। কিন্তু পরক্ষণেই আমি ভয়ে পিছিয়ে যাই। আমি আমার বাবা মাকে ভালোবাসি। খুব ভালোবাসি। আমি পুরো সমাজের কাছে তাদের লাঞ্চিত করতে পারি না। আমি চাইনা সমাজ তাদের এক ঘরে করুক। আমি কখনোই চাইনা তাদের সন্তান গে হওয়ার অপরাধে সমাজের কাছে তারা উপহাসের পাত্র হোক।

টিপিক্যাল মধ্যবিত্ত বাঙালি বাবা মায়ের চিন্তাভাবনা আমাদের সবার জানা। ছেলে লেখা পড়া শেষ করে ভালো একটা চাকরি পাওয়ার পর বিয়ে করে নাতি নাতনীর জন্ম দেবে যাদের সাথে হেসে খেলে বুড়ো বয়সটা পার করে দেয়া যায়। চাপাকষ্ট বুকে নিয়ে বসত করি। ছোট ভাইয়ের সামনে বাবা মা আমার বিয়ের প্রসঙ্গ আলোচনা করেন। আমি লাজুক হাসি, প্রসঙ্গ পরিবর্তনের চেষ্টা করি অথবা সেখান থেকে উঠে যাই। কিন্তু ভাবনায় সিডর, হৃদয়ে আইলা বয়ে যায়।



বিষমকামীরা যেভাবে মেয়েদের নিয়ে আলোচনা করে আমি আমার বন্ধুদের সাথে সেভাবে ছেলেদের নিয়ে কথা বলতে পারিনা। অনিচ্ছা সত্ত্বেও স্কুল কলেজের বন্ধুদের সাথে মেয়েদের সৌন্দর্য্য নিয়ে আলাপ করতে হয়। আমি চিৎকার করে বলতে পারি না, "দোস্তরা, আমি গে!" অনেক সময় আমার বন্ধুরা গে দের নিয়ে কৌতুক করে। তাদের অট্টহাস্যে আকাশ ভারী হয়। আমি তাদের পাশে দু:খভারাক্রান্ত মনে নি:শ্চুপ বসে থাকি। সমকামীদের সমর্থন করে কিছু বলতে পারিনা। সব যুক্তি তর্ক তখন হাওয়া হয়ে যায়। আমি জনতার সামনে , বন্ধুদের সামনে অপমানিত হওয়ার সাহস রাখি না।

কিন্তু পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ আছে যেখানকার সমকামী ভাই বন্ধুটি তার জীবনটাকে নিজের মত করে উপভোগ করতে পারছে। তাদের আছে স্বাধীনতা। প্রকাশের স্বাধীনতা। পরিবারের কাছে, বন্ধুদের কাছে তারা সব খুলে বলতে পারে। আমার কল্পনাতেও যা কখনো আসবে না।

ছোটভাইয়ের সমকামী ক্লাসমেট

আমি ফেসবুকে খুব এক্টিভ হলেও চ্যাটে অতটা আন্তরিক নই তা তোমরা অনেকেই জানো। আসলে অনেক বছর ধরে চ্যাট করছি। ২০০৮ থেকে। সেই একই ধরণের চ্যাট। হাতে গোনা কিছু মানুষ বাদে অধিকাংশের চ্যাটিংয়ের বিষয় এজ সেক্স লোকেশান। এদের কাছে মনের থেকে ধোন বড়।

দ্বিতীয় স্বত্তা - দ্বিতীয় আইডি

ফেসবুক! বর্তমান পৃথিবীতে যদি ডিজিটাল সপ্তাচার্য নির্নয় করা হয় তবে অবশ্যই ফেসবুক প্রথম স্থান অধিকার করবে। আমার থেকে বছর দুয়েকের বড় মার্ক জ্যুকারবার্গ এমনই এক সামাজিক নেটওয়ার্ক আবিষ্কার করেছেন যা পুরো পৃথিবীকে খুব কাছে আনতে সমর্থ হয়েছে। মূহূর্তের মধ্যে দেশ বিদেশে বন্ধু, আত্মীয় পরিজনের সাথে আমরা নিজেদের মূহূর্তগুলো, অনুভূতিগুলো শেয়ার করতে পারছি। অন্যান্য আরো সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইট আছে। তবে তারা ফেসবুকের মত এত বিস্তৃতি, এত ব্যপ্তি অর্জন করতে সমর্থ হয়নি।

রংধনু পতাকার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।

রংধনু পতাকার ইতিহাস। আসলেই কি এই পতাকার কোন ইতিহাস আছে? একটি সত্যিকারে পতাকার নকশা করা যায় না, তা জনগনের আত্মা থেকে ছিঁড়ে আনতে হয়। যেটা হয়ে ওঠে গনমানুষের পতাকা। তোমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন কেন রংধনু পতাকা নিয়ে এত মাতামাতি। কেন সবাই প্রোফাইলে রংধনু পতাকা লাগাচ্ছে। তোমরা সবাই কেনর উত্তর জানতে চাও। গুগলে সার্চ দিলে সহজেই পেয়ে যেতে। তবু ইতিহাসস জানতে সবারই অনিহা। আমি কিছুদিন তোমাদের ইতিহাস জানানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তোমরা সবাই বলো এগুলো জেনে কি লাভ! আমিও ভাবি এগুলো তোমাদের জানিয়ে কি লাভ। তোমরা নগদে সব লভ্যাংশ পেতে চাও। মোঘলদের ইতিহাস জেনে কি লাভ? তবু ইতিহাসের বইয়ে কেন ওগুলো পড়ানো হয়?

১৯৭০ সালের কথা। কানসাসে বেড়ে ওঠা যুবক গিলবার্ট বেকার। আর্মির চাকরি নিয়ে স্যান ফ্রান্সিসকোতে চলে আসেন। সেনাবাহিনী থেকে সম্মানজনক অব্যহতি পাওয়ার পরে বেকার স্যান ফ্রান্সিসকোতে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তার একজন শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন ছিলো। তিনি স্বপ্ন পূরণের পথে এগোতে চাইলেন। তিনি সেলাই শিখলেন। সত্তরের দশকের নজরকাড়া পোষাক সব তৈরী করতে লাগলেন।

১৯৭৪ সালে বেকারের সাথে মিল্কের পরিচয় হয়। মিল্ক বেকারকে দেখান কিভাবে কাজ পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়। তিন বছর পরে মিল্ক স্যান ফ্রান্সিসকোর বোর্ড অফ সুপারভাইজার নির্বাচিত হন। তিনি প্রথম প্রকাশ্য সমকামী ব্যক্তি যিনি আমেরিকার বড় একটি শহরের সরকারী উচ্চ পদে পৌঁছাতে সক্ষম হন। তাও জনগণের ভোটে। কাস্ত্রো সেন্টের মেয়র থাকার সময়ে মিল্ক সমকামী যুবকদের আশার বাণী শোনানোর জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি সবসময় বলতেন, "তারা (সমকামী যুবকেরা) একমাত্র আশা খোঁজে এবং তোমাদের (জনগণের) উচিত তাদের আশা দেওয়া।'' একদা সমকামী ব্যক্তিগন নিজেদের প্রতীক হিসেবে গোলাপী ত্রিভুজ ব্যবহার করতো। মূলত হিটলারের নাৎসী বাহিনী সমকামীদের চিহ্নিত করে হত্যা করার জন্য এই গোলাপী ত্রিভুজ ব্যবহার করতো। নির্বাচিত হওয়ার পরে মিল্ক গিলবার্টকে চ্যালেঞ্জ করলেন, সমকামী সম্প্রদায়ের জন্য এমন একটি প্রতীক তৈরী করতে যা নিয়ে তারা গর্ব করতে পারে।
 


মহা উৎসাহে বেকার কাজ শুরু করলেন। বেকার জুডি গার্লান্ডের গাওয়া, ওভার দ্যা রেইনবো থেকে অনুপ্রেরণা নেন। তিনি নিজ হাতে সুতায় রঙ করলেন। ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবকের সহায়তায় আট রঙা বিশাল দুইটি পতাকা সেলাই করলেন। বেকার প্রতিটি রঙের ব্যাখ্যা লিখলেন।


  • গোলাপী- সেক্স্যুয়ালিটি বা যৌনতা
  • লাল - জীবন
  • কমলা - হিলিং
  • হলুদ - সূর্য 
  • সবুজ - প্রকৃতি 
  • আসমানী - শিল্প 
  • নীল - শান্তি 
  • বেগুনী - উদ্দীপনা

এখান থেকেই মূলত শুরু। ১৯৭৮ সালে স্যান ফ্রান্সিসকোতে  ''গে ফ্রিডম ডে''র আয়োজন করা হয়। এখানে হাতে তৈরী বেকারের কিছু রংধনু পতাকা ওড়ানো হয়। পরবর্তীতে বেকার প্যারামাউন্ট ফ্লাগ কোম্পানীর সাথে মিলে অধিক পরিমানে পতাকা তৈরী শুরু করেন। প্যারামাউন্ট সাতরঙা পতাকা তৈরী শুরু করে।

১৯৭৮ সালের ২৭ নভেম্ভর সকালে মেয়র জর্জ মোসকেন এবং সুপারভাইজার হার্ভে মিল্ক সিটি হলে আততায়ীর হাতে খুন হন। স্যান ফ্রান্সিসকো্র সমকামী সম্প্রদায় এই ঘটনায় ব্যথিত হয়। গে ফ্রিডম ডে কমিটি ১৯৭৯ সালের গে ফ্রিডম ডে প্যারেডের সময়ে মার্কেট স্ট্রিটের দুই পাশের লাইট পোস্টে সাতরঙা পতাকা ওড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। তারা রংগুলোকে দুই ভাগে বিভক্ত করে দুইটি পতাকা তৈরী করে রাস্তার দুইপাশে টাঙালেন। তিন=তিন রঙ ব্যালান্স করতে তারা নীল রংটিকে বাদ দিলেন।

ছয় স্ট্রাইপের রংধনু পতাকা অচিরেই স্যান ফ্রান্সিসকোর অনেক বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উড়তে শুরু করলো। একই সময়ে গর্ব এবং আশার প্রতীক হিসেবে কফি মগ, টি শার্ট, বাম্পার স্টিকার ইত্যাদিতে রংধনু পতাকার নকশার ব্যবহার শুরু হলো।

আর এখন আমরা ফেসবুক প্রোফাইলে সাতরঙা আলপনা আঁকি।


 সাতরং নিজের সত্ত্বাকে প্রকাশের রঙ

টুম্পা ভাবী

গত মঙ্গলবার রাতের শিফটে ডিউটি ছিলো। যথাসময়েই ডিউটিতে ঢুকলাম। সিনিয়র বললেন, শুভ্র এদিকে আসেন। লোকটা পরিশ্রমী কিন্তু ব্যবহার খুবই খারাপ। তাই আমিও লাফ দিয়ে তার কাছে গেলাম। দুইশোর মত পাম্প মোটরের ডাটা মেলাতে হবে। মেলাচ্ছি দুজন মিলে। তিনিই বলছেন আমি লিখছি। দাঁড়িয়ে টেবিলের উপর উপুড় হয়ে লেখা আমার জন্য কষ্টকর। হাইটের কারণে একটু বেশী ঝুঁকতে হয়। বিরক্তিকর হলেও বিরক্ত প্রকাশের সাহস পেলাম না। এমন সময়ে ফোন বেজে উঠলো। আড় চোখে তাকালাম। আমার ডেস্কে মোবাইল বাজছে। সিম্ফোনির চেনা সুর। সিনিয়র ভ্রুক্ষেপ না করে ডাটা বলে যেতে লাগলেন। আবার ফোন বাজলো। বেজে যেতে দিলাম। আবার বাজলো। সিনিয়র বলে না ফোনটা ধরেন। আমি প্রায় দৌঁড়ে গিয়ে ফোনটার গলা টিপে ধরলাম। আবার লিখছি। আবার ফোন বাজে। আবার কেটে দিলাম। আবার ফোন বাজে। আবার কেটে দিলাম। আবার ফোন বাজে। আবার কেটে দিলাম। কয়বার হলো! অবশেষে কাজ শেষ হলো। 


প্যান্টের পকেটে হাত চালান দিলাম। অচেনা এয়ারটেল নাম্বার। বলতে গেলে কোন নাম্বারই চিনি না। শুধু যেগুলা সেভ করা থাকে কন্টাক লিস্টে ওগুলোকেই চেনা নাম্বার বলি। মুখস্ত বলতে নিজের, আব্বুর, আম্মুর এবং আমার কলেজ লাইফের এক বন্ধুর একটা নাম্বার মুখস্ত আছে। ছোট ভাইয়ের নাম্বারটাও মুখস্ত হয় নাই। ওগ হ্যাঁ কিশোর চাকমা এবং আরেকজনের নাম্বার মাঝে মাঝে কিভাবে ঠিক বলে ফেলতে পারি। আজিব। ডাবল সিমের ফোন। বাংলালিঙ্ক আর গ্রামীনের সিম লাগানো। দুই কোম্পানীর ফ্রির ম্যাসেজে ইনবক্স দুদিনেই ফিলাপ হয়ে যায়। সন্ধ্যায় ক্লিন করেছি। দেখি ওয়ান আনরিড মেসেজ। খুলবো না খুলবো না করেও রিড বাটনে চাপলাম। নাহ এটা অফার মেসেজ না। রোমান অক্ষরে এক লাইন লেখা। ‘’ami tumpa’’ । মেমরি সার্চ দিলাম। টুম্পা নামে কাউকে কি চিনি? নাহ। ভার্সিটি লাইফের পর থেকে নারী জাতীর সাথে লেনাদেনা প্রায় চুকিয়েই ফেলেছি বলা চলে।

কে হতে পারে টুম্পা। আমি সব ভূলে গেলেও অনেক কিছুই তো মনে থাকে। নাহ টুম্পা নামে চেনা কারো মুখ মনের গুগলে ধরা পড়লো না। জিপি থেকে এয়ারটেলে ফোন দিলে এত্ত গুলা টাকা কাটে। সাধে কি আর জিপিকে হারামীফোন বলা হয়। দিলাম ফোন। ওয়েটিং।

মিনেট পাঁচেক পরে আবার ফোন দিলাম। স্টিল ওয়েটিং। ধ্যুর। যে হয় হোক। আমি শিফমেটের সাথে গল্প করছি। হঠাৎ ওই নাম্বার থেকে মিসকল এলো। কেয়ার করলাম না। দশ পনেরও মিনিট পরে ফোন এলো। ডিরেক্ট কল। ওপাশ থেকে সুরেলা গলা ভেসে এলো...

- হ্যালো।
- হ্যালো, স্লামালেকুম।
- নমস্কার।
- নমস্কার! আপনি কি নিশ্চিত আমি নমস্কার পার্টি?
- হ্যাঁ।
- কে বলছিলেন।
- ওমা বিয়ে করছেন, বাচ্চা হওয়াইছেন। আর এখন বলেন আমি কে?
- আমি ঠিক বুঝলাম না। আপনি কি বলছেন!
- আমি তোমার বউ।
- আমার বউ? বিয়ে কবে করলাম?
- সেকি বাচ্চা হওয়াইছেন। আর এখন বলছেন বিয়ে কবে করলাম। আমি তোমার বাচ্চার মা!
- আমার বাচ্চার মা! কাম সারছে! আগে ভাবতাম লুঙ্গি বাচ্চার মা দাবী নিয়ে আসবে। এখন দেখি জলজ্যান্ত মানুষ সেই দাবী করে বসছে।
- খিল খিল খিল।
- বেশ মজা পেয়েছেন মনে হচ্ছে। এবার বলেন ভাই আপনি কে? অচেনা কারো সাথে তো সব কিছু নিয়ে মজা করা যায় না।
- এই তোমাকে না খুব আদর করতে ইচ্ছে করছে।
- রাত দুপুরে স্বামীকে আদর করার ইচ্ছে জাগতেই পারে। দিনের বেলা কি স্বামীর দরকার নাই। এই মধ্যরাতে স্বামী খুঁজতে বেরিয়েছেন। পরিচয় বলেন ম্যাডাম।
- এই আমি তোমার হাত কামড়াবো।
- স্বামী যখন তখন হাত কামড়াবেন কেন। সব কিছুই কামড়াতে পারেন।
- নাহ। শুধু হাত কামড়াবো।
- কিছু আগে ফোন ব্যস্ত পেলাম, তখন কি অন্য কারো হাত কামড়াচ্ছিলেন।
- হ্যাঁ।
- ওহ বেশ পরকীয়া করেন মনে হচ্ছে।
- হ্যাঁ করি।
- বেশ বেশ। পরকীয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। সকাল বিকাল পরকীয়া করেন, স্বামীর উপর চাপ কমান।
এর পরে লাইনটি কেটে গেলো। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে জানি এই সময়ে ফোন কেটে যায় না। ওপাশ থেকে কেটে দেয়া হয়। এর অর্থ এবার ব্যাক করো। ফ্রিতে পিরিতের আলাপ করি। কে না কে। আমি আর ব্যাক করতে গেলাম না। সিম্ফোনিতে সব রেকর্ড হয়ে থাকে। দুই শিফমেট মিলে রেকর্ড শুনি আর হো হো করে হেসে গড়িয়ে পড়ি। শিফমেট থেকে থেকে বলে, এই আমি তোমার হাত কামড়াবো। আবার হাসির হল্লা শুরু হয়।
টুম্পা যেই হোক। আমাদের কিছু হাসির খোরাক দিয়ে গেছে। গতকালও শিফমেট বললো, ভাই তাও ভালো শুধু হাত কামড়াতে চাইছে। অন্য কিছু কামড়ে ধরলে কি হতো। আমি বললাম, কি আর হতো। বউ মানুষ। যা খুশী কামড়াক।
 
 

নিরো

দেশে দেশে সমলিঙ্গিক বা সমকামী বিবাহের স্বীকৃতি দেয়ার হিড়িক পড়ে গেছে। অনেকের ধারণা গে ম্যারেজ বা সমকামী বিয়ে একটি আধুনিক প্রথা বা ধারণা। আসলে কিন্তু তা নয়। সুদূর অতীতে সমকামী বিবাহের নিদর্শন পাওয়া যায়। প্রাচীন সমাজে সমকামী বিয়ের কথা বলতে গেলে নিরোর কথা বলতে হয়। নিরো একজন নয় দুই জন পুরুষকে বিয়ে করেছেন। বাঙালির কাছে রোমান সম্রাট নিরো বাঁশি বাজানোর জন্য বিখ্যাত। কথিত আছে রোম নগরী যখন পুড়ছিলো তখন নিরো বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। সম্রাট নিরো সমকামিতাকে নোংড়ামির শেষ সীমায় পৌঁছে দিয়েছিলেন।


রোমান সম্রাট ক্লডিয়াসের চতুর্থ স্ত্রী আগ্রিপ্পিনার ছেলে হচ্ছে নিরো। ক্লডিয়াসের প্রথম সন্তান ১৪ বছর বয়সী রাজপুত্র ব্রিট্টানিকাসকে আগ্রিপ্পিনা বিষপ্রয়োগে হত্যা করে নিরো সিংহাসন লাভের পথ পরিষ্কার করেন। অথচ ক্ষমতা লাভের পর নিজ মাকে হত্যার প্রচেষ্টা করে নিরো। প্রথম বার বিষপ্রয়োগে হত্যা ব্যর্থ হয়। এর পর ঘরের ছাদ ভেঙে চাপা দিয়ে, জাহাজ ডুবিয়ে মারার প্রচেষ্টা ব্যার্থ হলে নিজের সৈন্য পাঠিয়ে আগ্রিপ্পিনাকে হত্যা করে। নিরো দুজন মেয়েকে বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর নাম ক্লডিয়া অক্টোভিয়া, সম্রাট ক্লডিয়াসের মেয়ে। ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত রাখতে নিরো ক্লডিয়াকে বিয়ে করে। গরম বাথ টাবে ক্লডিয়ার মৃতদেহ আবিষ্কৃত হয়। এর পিছনে নিরোর অবদান অনস্বীকার্য। এরপর নিরো পপায়া সাবিনাকে বিয়ে করেন। নিরো গর্ভাবস্থায় সাবিনাকে লাথি মারায় তার মৃত্যু হয়। নিরো বন্দীদের বাঘ সিংহের খাবার হিসেবে ছেড়ে দিতো। অনেকসময় বন্দীকে প্রাণীর চামড়া পরিয়ে কলোসিয়ামে কুকুর ও অন্যান্য বন্য জানোয়ারের হাতে ছেড়ে দিতো ছিড়ে খাবার জন্য। কিছু লোককে ক্রুশে ঝুলিয়ে মারে। রাজ প্রসাদের পার্টিতে আলো জ্বালাতে কিছু লোকতে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হতো। এই ছিল নিরো। সম্রাট নিরো। টাইর‍্যান্ট বা স্বৈরশাসকের নিকৃষ্ট উদাহরণ। নিরো নিজের জন্য সুবিশাল প্রাসাদ নির্মানের নিমিত্তে কাউকে অবহিত না করে রোমের একটা অংশ পুড়িয়ে ফাঁকা করে ফেলে।


সাবিনার মৃত্যুর পর নিরো স্প্রাউস নামের এক সুদর্শন দাস বালককে বিয়ে করেন। রাজকীয় ভাবে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়েতে স্প্রাউসকে কনের সাজে সাজানো হয়। নিরো পরেন দিয়ে পোষাক। স্প্রাউসকে মেয়েদের পোষাক পরতে হতো এবং তার সভাসদগণ তাকে সম্রাজ্ঞী হিসেবে অভিবাদন জানাতো। নিরো স্প্রাউসের জেনিটাল বা শুক্রাশয় কেটে ফেলেন। এরপরে নিরো পিথাগোরাস নামের এক যুবককে বিয়ে করেন। আমাদের ছেলেবেলায় পড়া পিথাগোরারের উপপাদ্যের পিথাগোরাস ইনি নন। এই বিয়েতে কনের পোষাক পরেন নিরো। নিরোর নিষ্ঠুরতায় তার সৈন্য বাহিনী বিদ্রোহ শুরু করলে সে পালিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত নিরো আত্মহত্যা করে। স্প্রাউস বা পিথাগোরাস সম্পর্কে খুব বেশী তথ্য পাওয়া যায় না। তবে এক স্বৈরশাসকের সাথে বিয়ে হওয়ায় তাদের নাম হাজার বছর ধরে বেঁচে আছে।

আকিলিস এবং প্যাট্রোক্লস

আজ প্রাচীন বিশ্বের ভালোবাসার আরেকটি গল্প শোনাতে চাই। গ্রীকদের গল্প। আমি নিজেও এই ব্যাপারে পড়াশোনা করার আগে বিশ্বাস করতাম প্রাচীন পৃথিবীতে সমকামী ভালোবাসা শুধু গ্রীকদের মাঝে ছিলো। কিন্তু আস্তে আস্তে জানার পরিধি বেড়েছে। গত কয়েকদিনে রোমানদের বেশ কিছু ইতিহাস তোমাদের শুনিয়েছে। সব যে ভালোবাসার তা কিন্তু নয়। গ্রীকদের ক্ষেত্রে বর্ণনাগুলোর একটা ব্যাপার হচ্ছে এরা সব গ্রীকদের বীরদের চরিত্রে দেবত্ব আরোপ করে। সকল বীরদের পিতা মাতা শেষ পর্যন্ত দেবতারা হন। আকিলিস এবং প্যাট্রোক্লসের ভালোবাসা জগৎবিখ্যাত। ট্রয় নামের চলচ্চিত্রে এই চরিত্র দুটি আছে। এই দুজনের মধ্যে কে প্রেমিক আর প্রেমিকা তা নিয়ে গ্রীকদের মাঝে অনেক গবেষণা হয়েছে। কিন্তু তারা সঠিক কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে নাই। অনেকে ধারণা করেন প্যাট্রোক্লস ছিলেন প্রেমিক কারণ তিনি বয়সে বড় এবং বিজ্ঞ ছিলেন অন্য দিকে আকিলিস ছিলেন বয়সে নবীন এবং লাস্যময় যুবক। বলা হয় বীরদের মধ্যে তিনিই ছিলেন সব থেকে সুদর্শন।

আকিলিস এবং প্যাট্রোক্লস তরুন বয়সে একে অন্যের প্রেমে পড়েন। তারা একত্রে বেড়ে উঠেছেন। জ্ঞানী পন্ডিত কাইরনের কাছে অধ্যায়ন করেছেন এবং একই সাথে ট্রোজান যুদ্ধে যান। তাদের সম্পর্ক কি ভালোবাসার ছিলো নাকি যৌন সম্পর্ক ছিলো? অধিকাংশ সম্রান্ত গ্রীকদের মত তারা পায়ুকাম থেকে বিরত ছিলেন। আকিলিসের বক্তব্য অনুসারে তারা দুজনের উরুর মাঝে ভালোবাসার খেলা খেলেছিলো। আমি কি বোঝাতে চেয়েছি নিশ্চয় বুঝতে পেরছেন। গ্রীকরা বিছানায় তাদের শক্তি সম্পর্কে অবগত না হলেও তারা কিন্তু তাদের বন্ধুত্বের শক্তি ঠিকই দেখতে পেয়েছে।

সুন্দরী হেলেনকে প্যারিস নিয়ে যাওয়ার পরে ট্রোজান যুদ্ধের সুত্রপাত হয়। সমগ্র গ্রীস ক্ষেপে উঠ। তারা আকিলিসের নেতৃত্ত্বে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ট্রয় নগরী দখলের জন্য নয় বছর ধরে যুদ্ধ চলে। গ্রীক সেনাপতি আগামেনন যখন সুন্দরী ব্রাইসিসকে ছিনিয়ে নেয় তার আকিলিসের কাছ থেকে তখন সে নিজেকে যুদ্ধ থেকে সরিয়ে নেই। সাহসী আকিলিস যুদ্ধ ক্ষেত্রে না গিয়ে নিজের তাবুতে বসে থাকেন। ওদিকে গ্রীসের বীরেরা ট্রোজান সেনাপতি হেক্টরের নেতৃত্ত্বে আক্রমনে একের পর এক নিঃশেষিত হতে লাগলো। আকিলিস ভ্রুক্ষেপই করলো না। কিন্তু যখন তার প্রাণের বন্ধু, তার ভালোবাসা, তার প্রেমিক মারা গেলো তখন সে যুদ্ধক্ষেত্রে ছুটে গেলো।


আগামেনন আকিলিসকে বারবার অনুরোধ করলো যুদ্ধে ফিরে আসার জন্য। এমনকি ব্রাইসিসকে ফিরিয়ে দেয়ার প্রতীজ্ঞা করলো। কিন্তু আকিলিস নিশ্চুপ বসে রইলো। ট্রোজানেরা এক পর্যায়ে গ্রীক জাহাজগুলো পুড়িয়ে দিতে উদ্যত হলো। প্যাট্রক্লস আকিলিসের পোষাক পরে যুদ্ধক্ষেত্রে গেলো, মহা বিক্রমে সে ট্রোজানদের তাড়িয়ে নিয়ে গেলো। যুদ্ধের উত্তাপে প্যাট্রক্লস ফেরার কথা ভূলে গেলো। সে ট্রোজানদের ট্রয় ওয়ালের কাছাকাছি তাড়িয়ে নিয়ে গেলো। ট্রোজান প্যাট্রন অপল্লো পেছন থেকে প্যাট্রক্লসকে আঘাত করে। অতঃপর হেক্টর এক কোপে প্যাট্রক্লসকে হত্যা করে।


এই দুঃসংবাদ শুনে আকিলিস ধুলোর মাঝে গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদতে শুরু করলো। প্যাট্রক্লসের দেহ ফিরিয়ে আনার পর আকিলিস তাকে পোড়াতে দিলো না। লাশের মাথার কাছ বসে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো। স্বর্গ থেকে আকিলিসের মা দেবী থেটিস ছেলেকে সান্তনা দিতে নেমে এলেন।

আকিলিস উঠে নতুন যোদ্ধা সাজে নিজেকে সজ্জিত করে যুদ্ধক্ষেত্রে ছুটে গেলেন। গণহারে ট্রোজানদের কচুকাটা করতে লাগলেন। তিনি ট্রোজান রাজা প্রাইমের বড় সন্তান হেক্টরকে বধ করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্যারিস অপোল্লোর নির্দেশ মত আকিলিসের গোঁড়ালিতে বিষাক্ত তীর মেরে তাকে হত্যা করেন। আকিলিস যাতে যুদ্ধে নিহত না হয় সেজন্য তার মা তাকে সাগরে ডুবিয়ে শুদ্ধ করেন। কথিত আছে তিনি পায়ের গোড়ালি ধরে ডুবান বলে এই অংশটি ভিজে নাই। সেজন্য শুধুমাত্র আকিলিসের গোড়ালিতে আঘাত করে তাকে মারা সম্ভব।


আকিলিস এবং প্যাট্রোক্লসের মৃতদেহ ভস্মীভূত করে তাদের ছাই একই কবরে সমাহিত করে গ্রীকেরা। তোমরা যারা চোখ দিয়ে পড়লে তারা শুধু একটা গ্রীক গল্প পড়লে। আর যারা মন দিয়ে পড়লে তারা নিশ্চয়ই দুই প্রেমিকের অমর প্রেমের গল্প পড়লে। যারা শুধু পাশাপাশি বাঁচতে চায় নাই। একজনের জন্য অন্যজন মরতেও পেরেছে। তারপরও কি গে রা ভালোবাসতে জানে না। তারা শুধু দেহসর্বস্ব প্রাণী! এই দুই বীরের জন্য, এই প্রেমিক যুগলের জন্য দুফোঁটা চোখের জল রেখো তোমার মনের কোঠায় যদি তুমি ভালোবাসাকে শ্রদ্ধা করতে চাও।