এল্যান টিউরিং, এক ব্রিটিশ বালক। ক্লাসে কোন বন্ধু নেই। সদা একাকী। অন্যেরা সব সময় তাকে নিয়ে উপহাস করে, বিদ্রুপ করে, আক্রমন করে। এলান বিদ্ধস্ত হয়। এই সময় তার পাশে এসে দাঁড়ায় সহপাঠী ক্রিস্টোফার। দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরী হয়। ক্রিস্টোফারের কাছ থেকে এলান ক্রিপ্টোগ্রাফী সম্পর্কে ধারণা পায়। আগ্রহ জন্মে। এ এমন এক কোডিং ভাষা যা কেউই বোঝে না। এলান ক্রিস্টোফারের প্রতি দুর্বলতা বোধ করে। কিন্তু তাকে বলা হয় না ভালোবাসি। এক গ্রীষ্মের ছুটিতে ক্রিস্টোফার বাড়ি যায়। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে এল্যান। সবাই ফিরে আসে। ক্রিস্টোফার আসে না। খবর আসে টিউবারকুলোসিসে ক্রিস্টোফার মারা গেছ।
অমিশুক এল্যান পড়াশোনা শেষ করে ক্যাম্বিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ক্রিপ্টোগ্রাফি নিয়ে সরকারী ভাবে কাজ করার নির্দেশ পায়। তাদের কাজ ছিলো এমন একটি মেশিন নির্মান করা যা দিয়ে জার্মান বাহিনীর পাঠানো ক্রিপ্টেড মেসেজ কে ডিক্রিপ্টেড করা যায়। সহযোগীদের সাথে নিয়ে দিন রাত কাজ করে এল্যান। অনেক প্রতিকূলতা সত্বেও সে তার যন্ত্র ক্রিস্টোফার মেশিন তৈরী করতে সক্ষম হয়। হ্যাঁ এই নামই এল্যান রেখেছিলেন। ঐতিহাসিকদের মতে এই মেশিন আবিষ্কারের ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দুই তিন বছর আগেই শেষ হয়ে যায়। ১৪ মিলিয়ন মানে ১৪০ লক্ষ মানুষের জীবন বেঁচে যায়। বিজ্ঞানীরা এই মেশিনকে বলেন টিউরিং মেশিন। এই যন্ত্রের উপর গবেষণা চলতে থাকে। এরই পথ ধরে এক পর্যায়ে চমৎকার এক যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়। যাকে আমরা বলি কম্পিউটার।
এল্যানের সমকামী চরিত্রের কথা প্রকাশিত হয়ে যায়। আদালত তাকে হরমোন চিকিৎসা নিতে বাধ্য করে। কারণ সেই সময় ব্রিটেনে সমকামিতা নিষিদ্ধ ছিলো। হরমোন চিকিৎসা শুরু হওয়ার এক বছরের মাথায় এল্যান আত্মহত্যা করে। এল্যানের ধারণা ছিলো সে চিকিৎসা নিলে ক্রিস্টোফারের স্মৃতি মুছে যাবে। যে মানুষটির জন্য ১৪০ লক্ষ লোকের জীবন বাঁচলো সেই মানুষটিকেই মহান সভ্য দেশ বাঁচতে দিলো না। কি অপরাধ ছিলো? পঞ্চাশ বছরেরও বেশী সময় পরে ব্রিটেন এল্যান টিউরিংয়ের কাজের স্বীকৃতি দিয়েছে। অথচ এটা তার জীবৎকালেই বেশী দরকার ছিলো।
skip to main |
skip to sidebar
একই রঙের মানুষগুলো যারা কখনো নিজেকে প্রকাশ করতে পারেনি এই বাংলায়...
এলান টিউরিং: এক সমকামী প্রেমিক এবং বিজ্ঞানী
ফেসবুক থেকে
আশাবাদী হোন...
নিজের সত্ত্বাকে জানুন, নিজের অনুভূতিকে মূল্যায়ণ করুন। একটাই তো জীবন। অন্যের জন্য নিজেকে কেন বঞ্চিত করবেন!
আপনি একা নন। আমরাও আপনার মত।
আসুন বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত একাকী না বেঁচে এক হই।
আপনি একা নন। আমরাও আপনার মত।
আসুন বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত একাকী না বেঁচে এক হই।
পাঠক প্রিয় পোস্টঃ-
-
আমি ফেসবুকে খুব এক্টিভ হলেও চ্যাটে অতটা আন্তরিক নই তা তোমরা অনেকেই জানো। আসলে অনেক বছর ধরে চ্যাট করছি। ২০০৮ থেকে। সেই একই ধরণের চ্যাট। হাতে...
-
ফেসবুক! বর্তমান পৃথিবীতে যদি ডিজিটাল সপ্তাচার্য নির্নয় করা হয় তবে অবশ্যই ফেসবুক প্রথম স্থান অধিকার করবে। আমার থেকে বছর দুয়েকের বড় মার্ক জ্...
-
সে অনেক দিন আগের কথা। বাংলাদেশের কোন এক বিরাট জমিদার পুত্রের গল্প। রাজ বাদশা জমিদার এরা অবাধ যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিলো। সেক্সের ক্ষেত্রে পাপ...
-
শেষ বিকেলের রোদের ছায়া বিছিয়ে আছে পিচ ঢালা কালো রাস্তার উপর্। টুংটাং ঘন্টা বাজিয়ে রাস্তা ধরে এগিয়ে যাচ্ছে কুলফি ওয়ালা। রাস্তার ফুটপাত ধরে প...
-
রংধনু পতাকার ইতিহাস। আসলেই কি এই পতাকার কোন ইতিহাস আছে? একটি সত্যিকারে পতাকার নকশা করা যায় না, তা জনগনের আত্মা থেকে ছিঁড়ে আনতে হয়। যেটা হয়...
সকল পোস্ট
-
▼
2015
(19)
- ► ফেব্রুয়ারী (1)
-
►
2016
(2)
- ► সেপ্টেম্বর (2)